শরিয়াহভিত্তিক বেসরকারি বাণিজ্যিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হলো কয়েক বছর ধরে ধুঁকতে থাকা চতুর্থ প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংক।
সোমবার (১৮ মার্চ) মাতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ব্যাংক দুটি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
ফার্মার্স থেকে পদ্মা; নাম বদলেও শেষ রক্ষা হলো না ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকটির। ৬০ শতাংশ খেলাপি ঋণের দায় টানতে গিয়ে দুর্বল ব্যাংকের তালিকায় পড়া পদ্মা এবার একীভূত হলো শরিয়াভিত্তিক এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে।
মঝোতা স্মারক সই শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ব্যাংক দুটি আজকে একীভূত হয়েছে। পদ্মা ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তাদের ভয়ের কিছু নেই। কারো চাকরি হারাবে না।
পদ্মা ব্যাংকের কোনো গ্রাহকের কোনো ক্ষতি হবে না জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম আগের মতোই চলবে। দুটি ব্যাংক একত্রিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও শক্তিশালী হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে পদ্মা ব্যাংকের সকল গ্রাহকের দায়-দায়িত্ব এক্সিম ব্যাংকের। এক মাসের মধ্যে নাম পরিবর্তন করা হবে। পদ্মা নামে কিছুই থাকবে না।
এর আগে গত ১৪ মার্চ এক্সিম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ব্যাংক দুটি একীভূতকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দুর্বল ব্যাংক একীভূত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক উদ্যোগের পর দুটি ব্যাংকের একীভূত হওয়ার এটিই প্রথম সিদ্ধান্ত।
আর গত ১২ মার্চ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলো নিজেরা একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। দরকার হলে মার্চের পর বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করবে।